শরীয়তপুরে বিসিএস ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া সাতজনের ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে ফুল, মিষ্টি ও উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ ও ডামুড্যা উপজেলার সাতজনের বাসায় ফুল, মিষ্টি ও উপহার নিয়ে যান শরীয়তপুরের গোসাইরহাট সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান।
ব্যতিক্রমী এমন উদ্যোগে মুগ্ধ সুপারিশ পাওয়া সাতজনের অভিভাবকরাও। ৩৬তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাজিকান্দি গ্রামের দ্বীন ইসলাম, চরভাগা ডিয়ারা চৌকিদারকান্দি গ্রামের মিজানুর রহমান (রুবেল), চরভয়রা চরচান্দা মালকান্দি গ্রামের কাউসার আহম্মেদ (কাউসার), গৈড্যা গ্রামের সেদাতুজ জাহান ইতি, দুলারচর চরচাপিলা গ্রামের নাসিমা আক্তার, ডামুড্যা উপজেলার বাহেরচর গ্রামের আলাউদ্দিন ও আদাশন গ্রামের তানভীর আহম্মেদ শ্যামল।
গোসাইরহাট সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে ভীতি ও নেতিবাচক ধারণা রয়েছে অনেকের। সে ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। কয়েক লাখ পরীক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তারা নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন। তাদের মতো মেধাবীদের শুভেচ্ছা ও তাদের গর্বিত মা-বাবাদের সম্মান জানানো উচিত। তাদের শুভেচ্ছা জানাতে পেরে আমি গর্বিত, আনন্দিত।
পুলিশের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে অভিভূত সেদাতুজ জাহান ইতি বলেন, পুলিশ ভেরিফিকেশন মাইল ফলক হয়ে থাকবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে অনেক নেতিবাচক কথা শুনেছিলাম। পুলিশ ফুল ও গিভড দিয়ে ভেরিফিকেশন করল তাতে আমরা খুবই আনন্দিত।
নাসিমা আক্তার বলেন, পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে এসে শুভেচ্ছা জানাবে চিন্তাও করতে পারিন, ভালো লাগল। যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষই যোগ্যদের বোঝে।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, চাকরিজীবনে যেন মানুষের সেবা করি। কাউকে যেন হয়রানি না করি। তিনি বলেছেন, অন্য কেউ বাড়িতে এসে টাকা চাইলে অথবা হয়রানি মূলক কাজ করলে আমাকে জানাবেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস